Header Ads

Header ADS

বিছনাকান্দি, সিলেট।

বিছনাকান্দিঃ

বিছনাকান্দি ‍সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। এটি মূলত একটি পাথর কোয়ারী। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের খাসিয়া পাহাড়ের অনেকগুলি ধাপ দুই দিক থেকে এসেে এক জায়গায় মিলিত হয়েছে আর এই মিলনস্থলে পাহারের খাজে খাজে রয়েছে ভারতের মেঘালয়ের পাহাড় থেকে নেমে আসা সুউচ্চ ঝর্ণ। বিছনাকান্দির মূল আকর্ষণ হচ্ছে পাথরের উপর দিয়ে বয়ে চলা স্বচ্ছ পানি আর পাহাড়ে পাহাড়ে সাদা মেঘের উড়াউড়ি। প্রথম দেখায় যে কারো মনে হতে পারে এ যেনো পাথরের বিছানা। পাহাড়, নদী, ঝর্ণা আর পাথরের সৌন্দর্য সব মিলিয়ে  এক সৌন্দর্যের লীলা আপনাকে বিছনাকান্দি আকর্ষণ করবে বারং বার।



সময়ঃ


যে কোন ঋতুতেই বিছনাকান্দি ভ্রমণের উপযোগী। তবে বর্ষাকালকে এর যৌবনকাল ধরা হয়। সুতরাং বর্ষাকালই ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।


যাতায়াতঃ 


পৃথিবীর কিংবা বাংলাদেশের যেকোন প্রান্ত থেকেই বিছনাকান্দি আসতে হলে আপনাকে প্রথমেই সিলেটে আসতে হবে। সিলেট থেকে বিছনাকান্দি আসতে হলে আম্বরখানা সিএনজি স্টেশন থেকে জনপ্রতি 120-140 টাকায় লোকাল সিএনজি চড়ে হাদারপার নামক জায়গায় আসতে হবে। সিএনজি রিজার্ভ নিলে সাধারণত 1200-1500 টাকা লাগবে। হাদারপার থেকে নৌকা ঠিক করে বিছনাকান্দি আসতে হবে। বিছনাকান্দি, পান্থুমাই, লক্ষনছড়া কাছাকছি হওয়ায় সবগুলো জায়গা একসাথে ঘুরে দেখার জন্য নৌকা ঠিক করতে পারেন। নৌকা ভাড়া 1400-1600 টাকা হবে। যদি শুধু বিছনাকান্দি যেতে চান সেক্ষত্রে 800-100 টাকায় হয়ে যাবে।

খাওয়াঃ


বিছনাকান্দিতে ঘরোয়া পরিবেশে রান্না করা কিছু খাবার হোটেল রয়েছে। এখানে আপনি 120-150 টাকায় ভরপেট খেতে পারবেন।

থাকাঃ


বিছনাকান্দিতে থাকার কোনো সুযোগ নাই। আপনাকে অবশ্যই সিলেট শহরে এসে রাত্রিযাপন করতে হবে।

পরামর্শঃ


  • দলগতভাবে ভ্রমণ করলে খরচ কম পরবে
  • একদিনেই রাতারগুল সহ বিছনাকান্দি ভ্রমণ করা সম্ভব
  • নৌকা ও সিএনজি ঠিক করার সময় দামাদামি করুন
  • বিছনাকান্দিতে পানিতে নামার সময় পাথরের ওপর সাবধানে থাকুন
  • স্থানীয়দের সাথে বিনয়ী থাকুন
  • সন্ধ্যার আগেই সিলেট শহরে পৌছানোর চেষ্টা করুন
  • পরিবেশ ও প্রকৃতির ক্ষতি হয় এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকুন।
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন। ধন্যবাদ সবাইকে

No comments

Powered by Blogger.