লালাখাল, সিলেট।
লালাখালঃ
সিলেট শহর থেকে 35 কিলোমিটার দূরে জৈন্তাপুর উপজেলায় অবস্থিত। ভারতের চেরাপুঞ্জির ঠিক নিচেই লালাখাল এর অবস্থান। চেরাপুঞ্জি পাহাড় থেকে উৎপন্ন এই নদী বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য উত্তম স্থান এটি। লালাখালের বিভিন্ন অংশে নীল, সবুজ ও স্বচ্ছ পানির দেখা মিলে। চাইলে তামাবিল অংশের স্বচ্ছ পানির সারি নদীর উপর দিয়ে স্পীডবোটে বা নৌকায় লালাখাল আসতে পারেন। 45 মিনিটের এ যাত্রা আপনাকে লালাখালের সৌন্দর্যে আপনাকে বাকরুদ্ধ করে রাখবে। সন্ধ্যার পর নদীতে নৌকা থাকে না, তাই সন্ধ্যার মধ্যে ফিরে যাওয়া উত্তম। রাতে লালাখালের রুপে মোহিত হতে পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে আসা হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
যেভাবে আসবেনঃ
সিলেট নগরীর ধোপাদিঘীর পাড় ওসমানী শিশুপার্কের সমনে থেকে লেগুনা, মাইক্রোবাস অথবা জাফলংগামী বাসে চড়ে সারিঘাট আসতে পারেন। সিলেট এবং জাফলং এর মধ্যবর্তী স্থানে লালাখাল অবস্তিত। লালাখাল থেকে সিলেটে আসতে রাত 8.00 পর্যন্ত এই বাস লেগুনা পাবেন।
এছাড়া সিলেট থেকে যদি রিজার্ভ যেতে চান তাহলে মাইক্রোবাস এর ভাড়া লাগবে 2200-2500 টাকা। সিএনজি তে লাগবে 800-1000 টাকা। এছাড়া লালাখালে ঘুরার জন্যে ছাউনি দেয়া রঙিন নৌকায় ঘুরতে চাইলে 500-700 টাকায় পেয়ে যাবেন।
কোথায় থাকবেনঃ
লালাখালের পাড়ে রাত কাটাতে চাইলে নর্দার্ন রিসোর্টে বুকিং দিতে পারেন। অতিথিদের সিলেট থেকে আনা নেওয়ার জন্য তাদের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা আছে। তবে এখানে ভাড়া পড়বে বেশী। আর আপনি যদি সিলেট শহরে অবস্থান করেন তাহলে আপনি 400 থেকে শুরু করে যে কোনো মূল্যের হোটেল রুম পেয়ে যাবেন অনায়াসে।
কোথায় খাবেনঃ
লালাখালে খাওয়ার তেমন ব্যবস্থা নাই আপনাকে সিলেটে এসে খেতে হবে। সিলেট শহরের পানসী ও পাঁচভাই হোটেল খাবারের জন্য বিখ্যাত। এছাড়া ও আপনি শতাধিক হোটেল পাবেন খওয়ার জন্য।
পরামর্শঃ
- দলবেধে ভ্রমণ করুন, খরচ কম লাগবে।
- ভ্রমণের সময় কোনো ধরণের ময়লা ফেলবেন না।
- লালাখালে নামার সময় সতর্ক থাকুন।
- পাশেই জাফলং চাইলে ভ্রমণ করে আসতে পারেন।
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুৃন, নিরাপদে ভ্রমণ করুন। ধন্যবাদ সবাইকে।
No comments