Header Ads

Header ADS

ভোলাগঞ্জ, সিলেট।

সাদাপাথরঃ


সিলেট জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা কোম্পানীগঞ্জে ভোলাগঞ্জের অবস্থান। ভোলাগঞ্জের আরেক পাশে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের উঁচু উঁচু পাহাড়। সেই পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝর্ণার পানির প্রবাহ ধলাই নদীর উৎস। সবুজ পাহাড়, নীল আকাশ, সাদা মেঘের হাতছানি আর বর্ষার পাহাড়ি ঢালের সাথে নেমে আসা সাদা পাথর ধলাই নদীর বুকে মিলে মিশে একাকার। এযেনো এক নৈসর্গিক সুন্দরের হাতছানি। ধলাই নদীর উৎস মুখের পাথরের এই জায়গাটুকু ভোলাগঞ্জ জিরো পয়েন্ট বা “সাদা পাথর” নামে পরিচিত। অনেকের মতে সাদা পাথর বিছনাকান্দি ও জাফলং এর চেয়েও সুন্দর। সাদা পাথর এলাকা ছাড়াও কাছেই রয়েছে উৎমাছড়া ও তুরুংছড়ার মতো সুন্দর স্থান। এই সব কিছু মিলে ভোলাগঞ্জ এখন এক আকর্ষনীয় পর্যটন কেন্দ্র।



যেভাবে আসবেনঃ


সিলেট থেকে ভোলাগঞ্জের দুরত্ব প্রায় 35 কিলোমিটার। পৃথিবীর যেখান থেকেই ভোলাগঞ্জ যেতে চান প্রথমে আপনাকে সিলেট শহরে আসতে হবে। সিলেট শহর থেকে বাস, লেগুনা, সিএনজি ও প্রইভেট কারে করে ভোলাগঞ্জে আসতে পারবেন। বর্তমানে ভোলাগঞ্জের রাস্তা আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক ভালো।


সিলেটের আম্বরখানা থেকে সকাল 8.00 টা থেকে সন্ধ্যা 6.00 টা পর্যন্ত বিআরটিসি বাসে জনপ্রতি 50 টাকায় ভোলাগঞ্জে আসতে পারবেন। লোকাল সিএনজিতে ভাড়া নিবে জনপ্রতি 130-150 টাকা। সিএনজি রিজার্ভ নিলে আসা যাওয়া ভাড়া নিবে 1400-1600 টাকা। এছাড়া মাইক্রোবাসে ভাড়া নিবে 2600-3000 টাকা।


কোথায় খাবেনঃ


ভোলাগঞ্জ জিরো পয়েন্টে অল্পকিছু হোটেল রয়েছে চাইলে আপনি খেতে পারেন। তবে খাবারের মান ততোটা ভালো না। সিলেট শহরে খাওয়ার কথা মাথায় রেখে পরিকল্পনা করাই ভালো। সিলেট শহরে প্রায় শতাধিক হোটেল রয়েছে খাওয়ার জন্য।

কোথায় থাকবেনঃ

ভোলাগঞ্জে থাকার মতো কোনো ভালো হোটেল না। আপনি সিলেট শহরে থাকতে পারেন। শহরের ভিতরে আপনি 400 থেকে শুরু করে যে কোনো দামের হোটেল রুম বুক করে থাকতে পারেন।


পরামর্শ ঃ


  • খুব কাছেই উৎমাছড়া ও তুরংছড়া ভ্রমণ করতে পারেন
  • সন্ধ্যার আগেই ঘুরে শহরে ফিরে আসার চেষ্টা করুন
  • সীমান্তবর্তী জায়গা তাই সাবধানে থাকবেন
  • বর্ষাকালে পানিতে অনেক স্রোত থাকে, তাই সাবধানতা অবলম্বন করুন
  • দলবেঁধে ভ্রমণ করুন, খরচ কম লাগবে, আনন্দ বেশি হবে
  • যেখানে সেখানে ময়লা ফেলবেন না

সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকন, নিরাপদে ভ্রমণ করুন। ধন্যবাদ সবাইকে।

No comments

Powered by Blogger.